নিজস্ব প্রতিবেদক:
সিদ্ধিরগঞ্জে নির্মানাধীন নতুন থানা ভবনের নির্মাণসামগ্রী চুরি হয়েছে। গত ১লা মে রাতে ওই চুরির ঘটনা ঘটে। ওই চুরির ঘটনার পর থানা ভবন নির্মাণের দায়িত্বে থানা ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার আজাদ বাদি হয়ে অজ্ঞাত কয়েকজনের নামে সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। মামলা নং- ০৮। এদিকে চুরির ঘটনার পর থেকেই সন্দেহভাজন ওই চোরদের খোঁজে মাঠে নামে পুলিশ। পরে শুক্রবার রাতে ওই চুরির ঘটনায় জড়িত সন্দেহে চারজনকে আটক করে পুলিশ। আটকৃতদের প্রত্যেকের বাড়িই সিদ্ধিরগঞ্জের সুমিলপাড়া বিহারী কলোনিতে। আটকৃতরা হলো জিসান (১৮), জাহিদ (১৯), জাহাঙ্গীর (২০) ও সবুজ (১৯)। আটকৃতরা প্রত্যেকেই প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে চুরির সাথে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করে বলে জানিয়েছে পুলিশ।
এবিষয়ে এই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক ও রাসেল আহমেদ জানান, গত ১লা মে সিদ্ধিরগঞ্জের নির্মাণাধীন থানা ভবনের মালামাল কে বা কারা চুরি করে নিয়ে যায়। যেহেতু ওই রাতে পবিত্র সবেবরাত ছিলো তাই নির্মাণ শ্রমিকসহ সবাই ছুটিতে ছিলো। পরবর্তীতে রাতে ওই ভবনের তালা ভেঙ্গে ভিতরে থাকা নির্মাণ সামগ্রী ও নির্মাণ কাজে ব্যাবহৃত বিভিন্ন যন্ত্রপানি চুরি করে নিয়ে যায় অজ্ঞাত চোরেরা। পরেরদিন চুরির ঘটনাটি জানতে পেরে ঠিকাদার প্রতিষ্ঠানের ম্যানেজার আজাদ সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পরে উপ-পরিদর্শক রাসেল আহমেদের নেতৃত্বে সিদ্ধিরগঞ্জের বিভিন্ন স্থানে অভিযান পরিচালনা করা হয়। পরে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানা যায় ওই চুরির ঘটনার সাথে জড়িতরা আদমজীনগর সুমিলপাড়া বিহারী কলোনিতে অবস্থান করছে। পরে উপ-পরিদর্শক রাসেল আহমেদ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে শুক্রবার রাতে সুমিল পাড়া বিহারী কলোনিতে অভিযানে চালিয়ে সন্দেহভাজন ওই চোরদের আটক করে থানায় নিয়ে আসে। এবং চুরি যাওয়া মালামালও উদ্ধার করা হয়। পরে তাদেরকে থানায় এনে প্রাথমিকভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তারা চুরির সাথে সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে। এবং তারা আরো কয়েকজনের নাম প্রকাশ করে। তদন্তের কারণে আপাতত সেই নামগুলো আমরা প্রকাশ করছি না। এদিকে শনিবার বিকালে আটককৃতদের নারায়ণগঞ্জের সিনিঃ জুডিশিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট আশেক ইমামের আদালতে উঠানো হয় এবং সাত দিনের রিমান্ড আবেদন চাওয়া হয়। পরে আদালত আসমীদের একদিনের রিমান্ড আবেদন মঞ্জুর করেন।